বাংলাদেশ কংগ্রেসের রিটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আদালতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে কাজ চালাতে আহ্বান জানিয়েছেন, পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনের দুর্নীতির প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ কংগ্রেস বুধবার (৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করে। হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এই রিটের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।
নাহিদ ইসলামের প্রতিক্রিয়া:
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতীকে ভোট সংক্রান্ত আরপিও সংশোধনকে স্বাগত জানাই। তবে এই সংস্কার বাতিলে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, যা নিন্দনীয়। আদালতকে এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘ইসি যেন কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে এবং গণভোটের সঠিক প্রচারণা পরিচালনা করে। প্রশাসনের রদবদলে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে বলে আমরা সতর্ক।’
নির্বাচন তফসিল ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা:
নাহিদ ইসলাম আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন তফসিল এমন সময় ঘোষণা করা হবে যাতে সব দল সমানভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। তিনি বলেন, ‘গণভোটের প্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি রোধ করতে প্রশ্নগুলো আগে থেকে প্রচার করা প্রয়োজন।’
প্রশাসন ও কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, ‘ছোট দলগুলো ব্যবহার করে একটি মহল সংস্কার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে আদালতের আশ্রয় নিচ্ছে।’ নাহিদ ইসলাম আরও উল্লেখ করেন, ‘ডিসি-এসপির বদলির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এবং এখনও নির্বাচন কমিশন নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।’





