● বিনিয়োগ বাড়াতে কর ছাড় ও বিশেষ তহবিল সুপারিশ
● ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪% সুদে ঋণ সুবিধা
● প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা
● ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার ও বাজার সংস্কারের সুপারিশ
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটাতে অর্থ মন্ত্রণালয় গঠিত একটি কমিটি বড় ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রতিবেদনে ১০ হাজার কোটি টাকার ইকুইটি ফান্ড, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বল্পসুদের ঋণ এবং কর ছাড়ের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিএসইসি শক্তিশালীকরণ, আইসিবি পুনর্গঠন ও বাজারে আস্থা ফেরাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে শেয়ার বিনিয়োগ বাড়াতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিটি। এই ফান্ড পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) হাতে। একটি পেশাদার পোর্টফোলিও টিম বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেবে এবং সাত সদস্যের তদারকি কমিটি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় আরও ২ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ৩ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ৪ শতাংশ ভর্তুকিযুক্ত সুদে মার্জিন ঋণ পাওয়া যাবে। বর্তমানে এই তহবিলের পরিমাণ ১ হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া কর ছাড় ও প্রণোদনা কমিটি প্রস্তাব করেছে- এক লাখ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত রাখা; ক্যাপিটাল গেইন কর ৫ শতাংশে নামানো; সম্পদ-সমর্থিত সিকিউরিটিজে ২০ শতাংশ কর রেয়াত ও মিউচুয়াল ফান্ডের কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো। এসব পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ
বর্তমানে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ মাত্র ২০ শতাংশ। কমিটি ধাপে ধাপে তা ১২ বছরের মধ্যে ৬০ শতাংশে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে। এজন্য ব্রোকারেজ হাউস তালিকাভুক্তি, বিমা কোম্পানির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং আর্থিক সাক্ষরতা কর্মসূচি জোরদারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার ও বাজার সংস্কার
কোভিড-১৯ ও যুদ্ধকালীন সময়ে বাজার পতন ঠেকাতে আরোপিত ফ্লোর প্রাইস পুরোপুরি বাতিলের সুপারিশ করেছে কমিটি। পাশাপাশি কোম্পানির ঋণ গ্রহণ সীমা ইকুইটি ক্যাপিটালের ২৫০ শতাংশে বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাজার স্থিতিশীলতার জন্য অর্থমন্ত্রী বা উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি নিয়ন্ত্রক সমন্বয় কমিটি গঠনেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।





