প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন শিগগির তপশিল ঘোষণা করবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রেকর্ডসংখ্যক বাহিনী মোতায়েন থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে, প্রচারণাও শুরু হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারির শুরুতেই একটি অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন খুব শিগগির তপশিল ঘোষণা করবে। অন্তর্বর্তী সরকার সবসময়ই স্বচ্ছ থেকেছে। নতুন ডিসি ও এসপি নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে এবং এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। নিরাপত্তায় রেকর্ডসংখ্যক বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রেস সচিব জানান, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রচারণা শুরু হয়েছে এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। জুলাই চার্টার গ্রহণের পর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি হয়েছে। দলগুলো একই সঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
সমালোচনা ও পাল্টা বক্তব্য
শফিকুল আলম একটি দৈনিকের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জিল্লুর রহমানের মন্তব্যের সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন অতীতের নির্বাচন পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমানকে তুলনা করা হচ্ছে। তার দাবি, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দলকে নির্বাচনে না রাখলে তা অংশগ্রহণহীন হয় এ ধারণার সঙ্গে সরকার একমত নয়।
প্রেস সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরাও মনে করেন না যে ক্ষমা প্রার্থনা ও বিচার ছাড়া আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক স্বাভাবিকতায় ফিরতে পারে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো প্রমাণ করে দলটি এখনো সহিংস কৌশলকে রাজনৈতিকভাবে লাভজনক মনে করে।
জিল্লুর রহমানের সাম্প্রতিক ভিডিও নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন। তার দাবি, এসব ভিডিওতে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় এবং বিতর্কিত ব্যক্তিদের বক্তব্য প্রচারের সুযোগ দেওয়া হয়।
শফিকুল আলম বলেন, মানুষ নিজের যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে দুটি বিষয় তিনি স্পষ্ট করেন আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে না এবং অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করবে।





