রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা রাত থেকে আরও অবনতি হয়েছে। তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে এবং চিকিৎসকেরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থাকে এখন “খুবই ক্রিটিক্যাল” বলে মনে করা হচ্ছে।
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে আজ দুপুরে ব্রিফিং করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান জানান, রোববার রাত থেকেই খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি দ্রুত জটিল হয়ে উঠেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন এখনো সংকটমুক্ত নন এবং তাঁর অবস্থাকে ‘অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
জানা যায়, শ্বাসকষ্ট বাড়ায় প্রথমে তাঁকে সিসিইউতে রাখা হয়। পরে অবস্থা আরও জটিল হওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত ভেন্টিলেশনের সহায়তা নিতে হয়। বিএনপি নেতাদের দাবি, তিনি এখনো প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও লড়ে যাচ্ছেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীনের চিকিৎসকেরা সমন্বিতভাবে কাজ করছেন বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন। চিকিৎসকেরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে সব ধরনের চিকিৎসা প্রদান করছেন, তবে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ার কারণে সুস্পষ্ট মন্তব্য দিতে পারছেন না।
এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন,লিভারজনিত জটিলতা, কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস, শ্বাসকষ্ট এবং ফুসফুসের সংক্রমণসহ নানা সমস্যা একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে তাঁর স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে। চিকিৎসকেরা জানান, এসব জটিলতা একত্রে পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলছে। গত বৃহস্পতিবার দলের মহাসচিব জানান, খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। পরদিন তিনি বলেন, বর্তমান শারীরিক অবস্থায় তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো সম্ভব নয়। ফলে হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপরই এখন পুরো দায়িত্ব।





