কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ বেড়ে গেছে সয়াবিন তেলের দাম। বোতলজাত প্রতি লিটার তেল এখন ১৯৮ টাকা, যা আগে ছিল ১৮৯ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকায়। খোলা তেলও বেড়েছে ৫ টাকা। ভোক্তারা বলছেন, অনুমতি ছাড়াই এভাবে দাম বাড়ানো অন্যায়।
আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে। লিটারপ্রতি ৯ টাকা বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। ভোক্তা সংগঠনগুলো অভিযোগ করছে, আগাম ঘোষণা ছাড়া এভাবে দাম বাড়ানো কৌশলী ও অন্যায্য।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন দাবি করছে, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় সরকারকে জানিয়েই নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ব্যবসায়ীরা আবেদন করলেও অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
রাজধানীর কাঁঠালবাগান, কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুরে ঘুরে দেখা গেছে রূপচাঁদা, তীর, পুষ্টি, ফ্রেশসহ প্রায় সব ব্র্যান্ডের বোতলজাত তেল বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটারের বোতল ৯৬৫ টাকা, আর এক লিটার ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ছোট বোতলের সরবরাহ এখনও সীমিত।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে চাকরিজীবী হারুন জানান, পরিচিত দোকান থেকে আগের দরে তেল কিনতে পেরেছেন। তবে অনেক দোকানে নতুন দামের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। কারওয়ান বাজারের মুদি ব্যবসায়ীরা বলেন, কোম্পানিগুলো এক সপ্তাহ আগে জানিয়েছিল নতুন দরের তেল আসবে।
ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিগুলো ১০ নভেম্বর দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, যা ২৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। সমিতি লিটারপ্রতি বোতলজাত তেলের দাম ১৯৯ টাকা ও খোলা সয়াবিন ১৭৯ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, অনুমতি ছাড়া দাম বাড়ানো আইনসঙ্গত নয়। কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, অনুমতি ছাড়া দাম বাড়ানো অন্যায়। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিষয়টি তদন্ত করতে পারে। তিনি আরও বলেন, রমজানের আগে ব্যবসায়ীরা প্রায়ই দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, যা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।





