বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বহিষ্কৃত বিএনপির ২৪ নেতাকে আবারও দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পর তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানায় দলটি।
আজ বুধবার জারি করা সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বের শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়ায় এখন থেকে তাঁরা প্রাথমিক সদস্যসহ সব স্তরের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবেন।
দলে ফিরিয়ে আনা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- সাতক্ষীরার ইশ্বরদীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল-ই-মোস্তফা টুটুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অরুয়াইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. বাদল আহমেদ, পাবনার মাঝপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী প্রামানিক এবং জামালপুরের আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান চৌধুরী মুক্তা। এ ছাড়া নাটোরের লালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছিদ্দিক আলী মিষ্টু, পিরোজপুরের সদর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য মো. রাসেল সিকদার এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আলহাজ্ব মো. আসহাব উদ্দিন চেয়ারম্যানও পুনর্বহাল হয়েছেন।
বান্দরবান জেলা থেকে সর্বাধিক নেতাকে দলে ফেরানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ ও মো. আবুল কালাম, জেলা মহিলা দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও নাইক্ষ্যছড়ির সাবেক সভাপতি হামিদ চৌধুরী, নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, আলীকদম উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রিটন এবং লামা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জাকের হোসেন মজুমদার। কুড়িগ্রামের সাবেক নেত্রী মোছা. ফেরদৌসী বেগম ও মোছা. আমিনা বেগম অনন্যা, খুলনা জেলার মো. জহুরুল হক ও মহানগরের শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন, রংপুরের হুমায়ুন কবির মানিকও তালিকায় আছেন। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলা ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বেলাল হোসেন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক সদস্য মুকুল হোসেন, উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান বাবু, পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী এবং বড়হর ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছাকোয়াত হোসেন সাবু পুনরায় সংগঠনভুক্ত হয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের পুনর্বিবেচনার সুযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা আগামীতে সংগঠনের আদর্শ, নীতি ও শৃঙ্খলা যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন এমন প্রত্যাশা করছে বিএনপি।





