মাত্র ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে বাংলাদেশে পরপর তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যদিও কম্পনগুলোর মাত্রা ছিল স্বল্প থেকে মাঝারি, তবুও রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প সময়ের মধ্যে ধারাবাহিক কম্পন দেশের ভূতাত্ত্বিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তৈরি করেছে।বুধবার গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মোট তিনটি ভূমিকম্পে দেশ কেঁপে ওঠে।

ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, রাত ৩টার পর প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। এরপর ১৩ ঘণ্টার মধ্যে বাকি দু’টি কম্পন হয়। ছোট হলেও টানা কম্পনে মানুষজন ঘর থেকে বের হয়ে আসে, বিশেষ করে ঢাকায় এর প্রভাব বেশি ছিল।বিকেলে রাজধানীতে হালকা কম্পন:আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির জানান, কম্পনটির মাত্রা ছিল ৩.৬, এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকা। তিনি বলেন, কম্পন ছোট হলেও রাজধানীতে তা স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়।ভারতের জাতীয় ভূকম্পবিদ্যা কেন্দ্র (এনসিএস) নিশ্চিত করেছে, বিকেলের ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। কম গভীর ভূমিকম্প সাধারণত বেশি অনুভূত হয়, তাই ঢাকার অনেক এলাকায় হালকা দুলুনি টের পাওয়া গেছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ঢাকাসহ আশপাশে এর আগে ২২ ও ২৩ নভেম্বর মোট চারবার ভূমিকম্প হয়েছিল।এদের মধ্যে তিনটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী এবং একটি ছিল ঢাকায়। ২২ নভেম্বর তিনবার ও ২১ নভেম্বর একবার কম্পন হয়েছিল। এই ঘনঘন কম্পন দেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।