দুর্বল ও উচ্চ খেলাপি ঋণ থাকা ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের টাকা ফেরতের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
দুর্বল ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো দায় নেবে না, এমন অবস্থান স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বুধবার সংস্থাটির মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমানত ফেরতের পূর্ণ দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ব্যবস্থাপনাকেই বহন করতে হবে।
প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপের নির্দেশনা
তিনি বলেন, কোনো ব্যাংক আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে প্রয়োজন অনুযায়ী আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই অর্থ উদ্ধার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মামলা দায়েরসহ প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
খেলাপি ঋণে ঝুঁকিতে ১৭টি ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের অন্তত ১৭টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৫০ শতাংশের বেশি। তবে এসব ব্যাংক অধিগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও স্পষ্ট করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র।
রেমিট্যান্স প্রবাহের হালনাগাদ চিত্র তুলে ধরেন আরিফ হোসেন খান। তিনি জানান, ডিসেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে দেশে এসেছে ১৭০ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১২ কোটি ১৯ লাখ ডলার।
গত বছরের ডিসেম্বরের একই সময়ে দেশে এসেছিল ১৩৮ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। অর্থাৎ এবার রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, শুধু ১৪ ডিসেম্বর একদিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ২০ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৪৭৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বরে দেশে এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স, যা চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ। এর আগে অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে এসেছে যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ও ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। আগস্ট ও জুলাইয়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

