আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘প্রবাসীর সিটি – সিআইপি ওনার এ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে গ্লোবাল বাংলাদেশি কমিউনিটিতে অসামান্য অবদানের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন ট্রাভেল ও এভিয়েশনভিত্তিক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম। দেশ-বিদেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জীবন, সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প তুলে ধরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
‘গো উইথ আশরাফুল আলম’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আশরাফুল আলম দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ ও এভিয়েশনখাতকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। ফেসবুকে তার পেইজে তিনি তার অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরেন। বিমান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স, ট্রানজিট, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জীবনযাপন এবং বৈশ্বিক ভ্রমণ বাস্তবতার গল্প তিনি সহজ ও বিশ্বাসযোগ্য ভাষায় তুলে ধরেছেন। তার কনটেন্টে একদিকে যেমন নতুন প্রজন্মের ভ্রমণপ্রেমীরা দিকনির্দেশনা পেয়েছেন, অন্যদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিজেদের গল্প ও অবদানকে নতুনভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আশরাফুল আলমের কনটেন্ট শুধু ভ্রমণ বা এভিয়েশন তথ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা প্রবাসীদের আত্মপরিচয়, আত্মমর্যাদা ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতাকে তুলে ধরে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামের গল্প তার ভিডিও ও প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যা গ্লোবাল বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ তৈরি করেছে।
সম্মাননা গ্রহণের প্রতিক্রিয়ায় আশরাফুল আলম বলেন, এই স্বীকৃতি শুধু তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বিশ্বের প্রতিটি প্রবাসী বাংলাদেশির প্রতি সম্মান। তিনি জানান, ভবিষ্যতেও তিনি ট্রাভেল ও এভিয়েশনভিত্তিক কনটেন্টের মাধ্যমে প্রবাসীদের গল্প, সম্ভাবনা ও বাস্তবতা আরও গভীরভাবে তুলে ধরতে চান, যাতে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে আরও ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা যায়।
প্রবাসীর সিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সিআইপি ও বিশিষ্ট প্রবাসী ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে আশরাফুল আলমের এই সম্মাননা প্রদান গ্লোবাল বাংলাদেশি কমিউনিটির অবদানকে নতুন করে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরে। আয়োজকদের মতে, প্রবাসীদের সম্মান ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি এমন ব্যক্তিত্বদের অবদানকে সামনে আনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করবে।

